
প্রতিদিন কম কম করে খেয়েও কাল শেষ হয়ে গেছে চাল!
অন্যকিছু তো অনেকদিন আগেই ফুরিয়েছে।
কাল সারারাত চিন্তায় রাজুর ঘুম হয়নি।
হাতে আর একটিও টাকা নেই। শেষ কবে সে কাজ করেছিল তাও মনে করতে পড়ে না।
কতদিন কাজ নেই! তাই টাকাও নেই। কিন্তু এই সরল সত্যটা তার বাচ্ছা ছেলেটা বোঝে
না। সে শুধু সারাদিন বায়না করতে থাকে। সে প্রথমে ভেবেছিল বাবা ঘরে থাকলে যা চাইবে
তাই কিনে দেবে।
রাজুর পাড়ার অনেকেই কোথা থেকে রিলিফের খাবার এনেছে। তার বৌও যাবে বলেছিল।
কিন্তু এই ত্রিশ বছরে রাজু কোনোদিন কাউকে কিছু চায়নি। তার যেন কেমন খারাপ লাগে।
সেটা কেউ বোঝেনা। পাড়ার লোকে ‘খালি পেটে দিমাক’ বলে হাসি ঠাট্টা করে।
বেলা বাড়তে থাকে, আর খিদে। এক অব্যক্ত যন্ত্রনায় তার মুখ লাল হয়ে আসে। কিছু
একটা উপায় সে ভাবতে থাকে। তাকে বাঁচতেই হবে।
শেষে দৌড়ে ঘর থেকে কাজের কোদাল, গাঁইতি নিয়ে বেরিয়ে পড়ে। লোকে ভাবতে থাকে সে
কোথায় কাজ করবে? মোড়ের মাথায় দুএকজন তাকে ধরতে যায়। সেও দৌড়তে থাকে। শেষে
সে মালিকের ঘরে গিয়ে থামে। মালিক ঘর থেকে বেরিয়ে অবাক হয়ে যায়। রাজু হাতের
জিনিসগুলো জমা রেখে কিছু টাকা চায়!
ফেরার পথে সে ছেলের জন্য একটা খেলনা কোদাল কেনে!
No comments:
Post a Comment