Monday 27 July 2020

I'll wait for you all my life,


Till I meet you in the heaven.


You won't come to my home anymore,


But I'll reach you then.


Don't go away again,


Don't go away again.


We had a distance if not light-years,


But no light can reach you now there.


Though I'll come for sure,


Wait there, I'll come for sure.


(A part of the song 'Heavenly Distance')

Monday 1 June 2020

শেষ বিকেল


You Are My Sunshine Lyrics – 3 Versions Of The Song


এই পড়ন্ত বিকেলের বাঁকা রোদ আর তোমার ক্ষণিকের অভিমানে আমি আজও বাঁচি!
তোমার গোছানো বিনুনি ঘেঁটে দিয়ে ছুটে পালাই,
তুমি রাগ করে ‘কথা বলতে চাও না’ ভাব করো, আমি আরও ঘেঁটে দিই।
তোমাকে অগোছালো বেশ দেখায় তুমি তা মানতে চাও না, ‘এই শেষ বার’ ব’লেও শেষ করি না!
আচ্ছা, তোমার মুখে রোদ পড়লে এত বিরক্ত হও কেন? আমার তো বেশ লাগে।
তোমাকে দেখে ফুলগুলো গন্ধ ছড়ায়, জানি তুমি হাসবে।
আচ্ছা তাহলে ফুলগুলো টুপ টুপ করে ঝরে পড়ে কেন তোমার চারদিকে?
দিনের শেষ আলোয় তোমাকে দেখতে দেখতে পাখীরা ঘরে ফিরে যায়, আমি চেয়ে থাকি শুধু!

PC: Topsocialite.com

Sunday 26 April 2020

করোনার গল্প



আজ থেকে কয়েক দশক বাদে,
খুদেরা ধরেছে ঘিরে গল্পের সুবাদে।
হাতি বাঘ মেরেছি অনেক আগেই!
আজ তো দেখছি কিছু নতুন লাগেই।
স্মৃতির অতল জল ক্ষণিক তলিয়ে,
মোক্ষম এক ঘাই উঠল ঘুলিয়ে।
শোনো তবে বলি, সে অনেক দিনের কথা;
বিশ বিশ বছরে সে দুর্দিন যা তা!
ভাইরাস করোনা ছিল কোথা সে লুকিয়ে,
চিন দেশে মানুষেতে দিল তা ঢুকিয়ে।
তার কোন টিকা নেই প্রথমের দিকে,
হাজারে হাজারে ম’রে, রোগী লাখে লাখে।
নিঃশ্বাসে ছড়ায় সে অতি দ্রুত বেগে,
রাস্তায় বেরোলেই মাস্ক পরা লাগে।
এমন সময় সরকার দিল হুকুম,
বাইরে ঘুরবেন না, বাড়িতে থাকুন।
বন্ধ অফিস স্কুল দোকান বাজার,
বাদ দিয়ে শুধু যেটা খুব দরকার!
প্রথম দিকে তো মজা লেগেছিল খুব,
কাজ নেই ঘরে শুধু পড়ে থাকি চুপ।
দিনে রাতে, সাঁঝে প্রাতে, অঢেল ঘুমিয়ে।
করোনাকে তাড়িয়েছি শুধু ল্যাদ খেয়ে!

Friday 24 April 2020

একলা রাত

by Dave Carriel in Flickr

আমি একা জেগে আছি, এই নিস্তব্ধ রাতে, ফাঁকা রাস্তা।

ঝিঁঝিঁগুলো কোথা থেকে একঘেয়ে ডেকে চলে প্রাণপণ,

যেন রাতের নিস্তব্ধতাকে ভেঙ্গে দিতে চায়,

কিন্তু নেপথ্যেই রয়ে যায়।

দূরে কোনো শিশু কেঁদে ওঠে ঘুম ভেঙ্গে, জেগে ওঠে সতর্ক মা।

আদর করে আবার ঘুম পাড়িয়ে দেয়,

কোন ঘুমের জগতে পাড়ি দেয় সে,

সে'ই শুধু জানে।

হঠাৎ কোকিল ডেকে ওঠে, ঘুম ভেঙ্গে অভ্যাসে,

রাত বাকি বোঝার আগেই।

ডানা ফুলিয়ে আবার ঘুমিয়ে পড়ে,

নতুন দিনের আশায়।

স্মৃতিগুলো এই ফাঁকে হাতছানি দেয়, বিবর্ণ ম্লান,

স্বপ্নগুলো তার চারপাশে নাচতে থাকে, ভেংচিয়ে,

আমি চোখ চেপে ঘুমাতে চাই,শুধু ঘুম নাই!

Thursday 23 April 2020

সকালের সোনালী রোদ্দুর

এক
বাস স্ট্যান্ড

Bus Stop Painting at PaintingValley.com | Explore collection of ...by PaintingValley.com

ফেব্রুয়ারির দ্বিতীয় বুধবারে কাজের চাপটা একটু বেশিই ছিল। তাই সব কাজ শেষ করে বেরোতে কখন যে সাড়ে-সাতটা বেজে গেছে জয় সেটা ভালোরকম বুঝতে পারলো যখন ছ’তলার অফিস থেকে সে নিচে এসে বাস স্ট্যান্ডের দিকে হাঁটতে শুরু করল। শীতটা কিছু দিন থেকেই যাব যাব করছে, কিন্তু এখনও মাঝে মাঝে হাল্কা ঠাণ্ডা হাওয়া দিয়ে নিজের অস্তিত্ব জানাচ্ছে। জয় তাই ব্যাগ থেকে ওভারকোটটা বের করে পড়ে নিল। একটা সিগারেট ধরিয়ে হাঁটতে হাঁটতে যখন সে বাসস্ট্যান্ডে পৌঁছাল তখন দেখল যে একটি বাস বেরিয়ে গেল। এখন কখন সেই বাস আসবে তার জন্য অপেক্ষা করে  কতক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকতে হবে সেই ভাবতে ভাবতে তার হঠাৎ মনে পড়ে গেল আজকের দিনটা। সকাল সকাল তাড়াতাড়ি উঠে কোনরকমে কিছু খেয়ে  দৌড়ে দৌড়ে  বাস ধরে দশটার মধ্যে অফিস যাওয়া, তারপর সারাদিন হাজারো লোকের অভাব-অভিযোগ সামলে বাড়ি ফিরতে ফিরতে সাড়ে আটটা তো বেজে যায়। সাতপাঁচ ভাবতে ভাবতে কখন যে তার পাশে তার থেকে একটু বয়সে বড় বলে মনে হয় একজন এসে দাঁড়িয়েছে সে খেয়াল করেনি। সেও হয়তো  অফিস থেকে ফিরছে সারাদিন কাজের শেষে।  লোকটা পকেট থেকে একটা সিগারেট বের করে  ধরাতে যাবে,  কিন্তু  মুখ থেকে “ধ্যাত” আওয়াজ শুনে  জয় বুঝতে পারল বেচারী দেশলাই  অফিসে ফেলে  এসেছে। এরকম বিরক্তিকর অভিজ্ঞতা জয়ের আগেও আছে।  তাই সে নিজের করে তাকে  বলল, “এই যে!” লোকটিও তাড়াতাড়ি নিয়ে সিগারেট ধরালো এবং একটি  সুখ টান দিয়ে দেশলাই  ফেরত দিয়ে  বলল “ধন্যবাদ! একটা হবে নাকি?”  বলে একটি সিগারেট এগিয়ে দিল জয়ের দিকে। “আপনাকে  এখানে আগে দেখেছি বলে তো মনে হয় না,  অবশ্য  কলকাতা শহরটি ছোট তো নয়।”
-  হ্যাঁ আমি  অনেকদিন পর বাড়িতে এসেছি। আজকাল বাস কি কম চলছে?
-  তা একরকম বলতে পারেন। ওলা উবের এর দৌরাত্ম্যে  পাবলিক বাস কিছুটা হলেও কমে গেছে। আপনি যাবেন কোথায় যদি না কিছু অসুবিধা থাকে বলতে পারেন।
- তেমন কোথাও না,  আমার এক বন্ধুর  বাড়ি, বোসপুকুরে। অনেকদিন পর দেখা হবে।
- আমার বাড়িও তো ওই দিকেই,  আনন্দপুর।   চলুন তাহলে একই বাসে যাওয়া যাবে।
-  তাই নাকি,  বেশ।
কথা বলতে বলতে বেশ অনেকক্ষণ কেটে গেছে। এদিকে সাড়ে আটটা বাজতে চলল,  কোন বাসের দেখা নেই। শেষে জয় অধৈর্য হয়ে বলল-  তাহলে  আমি  একটা  ক্যাব বুক করি।
- সেই ভালো হয়,  এইভাবে আর কতক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকা যায়।
-  এইতো পাশেই একজন আছে, একসেপ্ট করে নিয়েছে।


সৌম কে বোসপুকুরে নামিয়ে দিয়ে জয়ের বাড়ি ফিরতে ফিরতে  প্রায় সাড়ে ন’টা বেজে গেছে।  গাড়িতে কথায় কথায় জানতে পারল, সৌমের বাড়ি আলিপুরে। কলকাতার একটি কলেজ থেকে ইঞ্জিনিয়ারিং পাশ করার পর  ব্যাঙ্গালোর চলে যায় একটা ভালো অফার পেয়ে। মাঝে দু-একবার  এলেও,  দীর্ঘ ছয় বছর সে বাইরেই  কাটিয়েছে। রিসেন্টলি একটা পারিবারিক সমস্যায় পড়ে তাকে শেষ পর্যন্ত চাকরি ছেড়ে আসতে হয় কলকাতায় নিজের বাড়িতে। অবশ্যই এখানেও সে একটি চাকরি জুটিয়ে নিয়েছে  আসার আগেই। রিফ্রেশ হয়ে ড্রয়িং রুমে আরাম করে বসে জয় এক কাপ চা নিয়ে টিভিটা চালাল।  সারাদিন  যা ঝক্কি গেল! ফোনটা হাতে নিয়ে বুঝতে পারল একটা আননোন নাম্বার থেকে  “রিচড, থ্যাংকস!”  মেসেজ। জয় বুঝতে পারল কে পাঠিয়েছে। একটা “ওয়েলকাম” পাঠিয়ে দিয়ে জয় সারাদিনের ক্লান্তি একটা নতুন ওয়েব সিরিজের মধ্যে মিলিয়ে  দিতে লাগলো।